Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
কালনার আখড়া
স্থান

চেয়ারম্যান

৭নং তাড়াইল সাচাইল ইউনিয়ন পরিষদ

তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ

কিভাবে যাওয়া যায়

সিএনজি, বাস, অটো-রিক্সা, রিক্সা ইত্যাদি যানবাহন যোগে কালনার আখড়ায় যাওয়া যায়। তাড়াইল সদর থেকে প্রায় ১.০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

যোগাযোগ

চেয়ারম্যান

৭নং তাড়াইল সাচাইল ইউনিয়ন পরিষদ

তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ

বিস্তারিত
তাড়াইল উপজেলা সদর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরের রাস্তার পূর্ব পার্শ্বে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বিখ্যাত আখড়া রয়েছে । বর্তমানে জরাজীর্ণ এ আখড়ার নির্মাণ খ্রীস্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দী বলে জানা যায় । তাছাড়া স্থানীয় মুরব্বীদের নিকট থেকে জানা যায় হযরত শাহ সেকান্দর (রঃ) সেকান্দর নগর এসে ইসলাম ধর্ম প্রচার কালে কালনার আখড়া নির্মাণ করা হয় । আখড়া নির্মাণকালে স্থানীয় মুসলমানরা বাঙ্গা প্রদানের জন্য শাহসেকান্দর (রঃ) এর নিকট আবেদন করলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে বৈষ্ণবদের আখড়া নির্মাণের সম্মতি দেন । বর্তমানে এই জরাজীর্ণ আখড়ার উপরের প্লাস্টার উঠে গিয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির হালকা ধরনের ইট ভেসে উঠছে এবং ছোট ছোট বটের চারা তা আচ্ছাদিত করে রেখেছে ।
এ আখড়ার ধর্ম দাসগোস্বামী ছিলেন পৌরহিতের দায়িত্বে  । জানা যায় ভাটী মুলুকের প্রায় তিনশত আখড়ার আচার্য হিসেবে ধর্মদাসগোস্বামী দায়িত্ব পালন করতেন এবং এই আখড়াটি ছিল তার প্রধান কার্যালয় । যার ফলে বৈষ্ণব সাধক ভজনের বিখ্যাত কেন্দ্র হিসাবে এ আখড়ার সুখ্যাতি এখনও ছড়িয়ে আছে । কিংবদমতী আছে যে, এই আধ্যাত্মিক সাধকের সাথে তৎকালীন শাহসেকান্দর (রঃ) এর  আধ্যাত্মিকতার মিল ছিল । কথিত আছে যে, জনৈক ব্যক্তি শাহ সেকান্দর (রঃ) এর নিকট মানত স্বরুপ তার কলার বাগানের ফলানো প্রথম সবরী পাকা কলা নিয়ে এ আখড়ার সামনের দিয়ে যাবার সময় গোসাঁই বাবাজী তার নিকট কলা চাইলে লোকটি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বলে যে, সে কাঁচা কলা নিয়ে যাচ্ছে । লোকটি হযরত শাহ সেকান্দর(রঃ) নিকট গিয়ে খাঁচা খোলে দেখে পাকা কলা গুলি কাঁচা হয়ে গেছে । এহেন ঘটনা দেখে লোকটি কাঁপতে লাগল এবং সমুদয় ঘটনা হুজুরের নিকট খুলে বলল । লোকটিকে হযরত শাহ সেকান্দর (রঃ) মিথ্যা বলার জন্য এবং তিরস্কার করলেন কিছু কলার কান্দা গোসাঁইকে দেয়ার জন্য তাকে নির্দেশ দিলেন । লোকটি বিদায় হয়ে গোসাঁই এর আখড়ায় হাজির হল এবং খাঁচা খুলে ভিতর থেকে কাচা কলা বের করতে যেয়ে দেখে ভিতরে সকল কলা পেকে গিয়েছে । এহেন ঘটনা দেখে লোকটি গোসাঁই এঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করল ।
এখানে প্রতি বছর ভাদ্রমাসে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম তারিখে বাৎসরিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয় । তখন দূর দূরান্ত থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সনাতনী ভক্তগণ এসে জমায়েত হয় । একদিন একরাত্রি চলে ভওিুমূলক শ্যামা সংগীত , গীতাপাঠ, বৈষ্ণব বাউলের গান হরি নাম সংকীর্তন  ।